শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন
রবিউল ইসলাম : সারা দেশে একযোগে আজ সকাল ৮টা থেকে সব শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হয়েছে। সোমবার দিনব্যাপী এ কর্মসূচি চলবে।
এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দিনব্যাপী জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বর্তমান সরকার ২০১০ সাল থেকে নিয়মিতভাবে বছরে দুবার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রেখেছে। ফলে বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবজনিত রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা (০.০৪%) প্রায় নাই বললেই চলে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী দেশের সব শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। দেশের ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ২৫ লাখ, ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ১ কোটি ৯৫ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে জেলা, সিটি করপোরেশন ও মাঠপর্যায়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল পাঠানো হয়েছে।
সরকারি ও বেসরকারি টিভি ও রেডিও এবং জাতীয় দৈনিক পত্রিকা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার করা হচ্ছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সব ইমামকে মসজিদে এবং হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের মাধ্যমে সব হিন্দু পুরোহিতকে মন্দিরে ৬-৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য জানাতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বিটিআরসির সাহায্যে দেশব্যাপী সব মোবাইল অপারেটরের মধ্যমে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের তথ্যসংবলিত খুদেবার্তা পাঠানো হয়েছে। দেশের সব শিশু বিশেষজ্ঞকে (সরকারি ও বেসরকারি) তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য এসএমএসের মাধ্যমে অবহিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ১ লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে ২ লাখ ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন। এতে ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী অংশ নেবেন।
ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর মাধ্যমে শিশুর অন্ধত্ব প্রতিরোধ করা হয়, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করা হয়। এ ছাড়াও সব ধরনের মৃত্যুর হার ২৪ শতাংশ হ্রাস করে ‘এ’ ক্যাপসুল। এ ছাড়াও হাম, ডায়রিয়া এবং নিউমোনিয়ার কারণে মৃত্যু উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস করে।